
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রিপোর্ট: এইচ,কে খালেদ সাইফুল্লাহ
**গাজা ইস্যুতে ঐতিহাসিক ঐক্য: মিশরের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বের জোরালো ভূমিকা**
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে গাজার মানবিক সংকট নিরসনে অবশেষে একত্রিত হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো। সম্প্রতি কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির mediating role নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে জোরালো কূটনৈতিক ও মানবিক উদ্যোগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগে সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, কাতারসহ ৫৭টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, যা গাজা ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের rare consensus হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
*পাকিস্তানের উত্তাল পরিবেশ*
পাকিস্তানের মুসলমানরাও গর্জে উঠেছে স্মরণকালের অন্যতম বড় সমাবেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে সম্মতি জানিয়ে লক্ষাধিক জনগণ এর চেয়ে বেশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে ভিক্ষুব করে যাচ্ছে
**মিশরের ভূমিকা: সিসির কূটনৈতিক তৎপরতা**
প্রেসিডেন্ট আল-সিসি গাজার সাথে মিশরের সীমান্ত রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়ে মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করেছেন, পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাম্প্রতিক বক্তব্যে বলেন, *”গাজার শিশু, নারী ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি হস্তক্ষেপ করতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই এই সংকটের সমাধানের চাবিকাঠি।”* এছাড়া, মিশর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংলাপেরও আয়োজন করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি শান্তির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
**মুসলিম দেশগুলোর যৌথ কর্মপরিকল্পনা**
শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় ত্রাণ পাঠানো, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই ত্বরান্বিত করা এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে জরুরি নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত আদায়ে সমন্বিত কূটনীতি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি সহ বেশ কয়েকজন নেতা ইসরায়েলকে “যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহি” করার ঘোষণা দিয়েছেন।
**আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ**
মুসলিম দেশগুলোর এই ঐক্য পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিলেও ইসরায়েলের প্রতি তাদের traditional support নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তেল আবিব চাপে রয়েছে। তবে, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য (যেমন: সৌদি-ইরান টেনশন) এই জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
**সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ**
বিশ্লেষকদের মতে, গাজা ইস্যুতে মিশরের নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলোর এই ঐক্য regional geopolitics-এ নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। যদি এই জোট ফিলিস্তিনিদের জন্য tangible outcomes (যেমন: স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, রাষ্ট্রত্বের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি) অর্জন করতে সক্ষম হয়, তা অঞ্চলে মিশরের influence পুনরুদ্ধারসহ বৈশ্বিক কূটনীতিতে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তবে, এই unity কতদিন টিকে থাকে এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাথে সমন্বয় করে কীভাবে এগোয়, তা এখন চূড়ান্ত প্রশ্ন।
**উপসংহার:**
গাজার রক্তাক্ত সংঘাত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মিশর ও মুসলিম বিশ্বের এই জোরালো ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি নতুন hope তৈরি করেছে। প্রেসিডেন্ট সিসির mediating diplomacy এবং মুসলিম দেশগুলোর collective voice যদি বাস্তব পদক্ষেপে রূপ নেয়, তা হয়তো দশকজুড়ে চলা এই সংকটের সমাধানের সূচনা করতে পারে
English desk
*****Historic Unity on Gaza Issue: Strong Role of Muslim World Led by Egyptian President**
In the context of the Israeli-Palestinian conflict, Muslim countries are finally coming together to resolve the humanitarian crisis in Gaza. Same