
*ডেক্সট রিপোর্ট: এইচ,কে খালেদ সাইফুল্লাহ
**রুশ হামলায় ইউক্রেনে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল গুদাম ধ্বংস: কূটনৈতিক উত্তেজনার জন্ম**
**ঘটনাস্থল ও সময়:**
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি “কুসাম”-এর একটি গুদাম সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
**হামলার বিস্তারিত:**
– লক্ষ্যবস্তু: কুসাম কোম্পানির গুদামে মজুদ শিশু ও বয়স্কদের জন্য জরুরি ওষুধ।
– অভিযোগ: ইউক্রেনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের দাবি, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছে। তাদের বক্তব্য, “ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরও এ হামলা উদ্দেশ্যমূলক।”
**আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:**
– **ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন হ্যারিস:** রাশিয়ার ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।” তবে তার বক্তব্যে ভারতীয় কোম্পানির নাম উল্লেখ отсутствует.
– **রাশিয়ার পাল্টা অভিযোগ:** রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করে রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় ৫টি হামলা চালিয়েছে।
**মানবিক সংকট ও প্রভাব:**
ধ্বংসপ্রাপ্ত গুদামে ইউক্রেনের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ মজুদ ছিল। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই হামলার ফলে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে ওষুধের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও নাজুক করে তুলবে।
**কূটনৈতিক টানাপোড়েন:**
ভারত ও রাশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্ক সত্ত্বেও এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
**ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:**
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়টি উত্থাপনের জন্য ইউক্রেন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
**শেষ কথা:**
এই হামলা কেবল একটি গুদাম ধ্বংসের গল্প নয়, বরং এটি যুদ্ধের জটিলতায় জড়িত রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলে ধরেছে। বিশ্বজুড়ে নজর এখন ভারত ও রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
—
**সংযোজন:**
– **পাঠক মতামত:** “এই হামলা কি ভারতের নিরপেক্ষ বিদেশনীতিকে চ্যালেঞ্জ করবে?” মন্তব্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
– **ইনফোগ্রাফিক:** ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতীয় বিনিয়োগের পরিসংখ্যান (প্রকাশনার ওয়েবসাইটে দেখুন)।